বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৭ অপরাহ্ন
বার্তা ডেস্ক:
ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিলে নেতা-কর্মীদের ওপর ককটেল হামলার অভিযোগে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকসহ ৬৯ জনের নামে ১৯০৮ সনে বিস্ফোরক দ্রব্যাদী আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল রোববার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কাঠালিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নাজমুর হাসান (সুজন) বাদী হয়ে কাঠালিয়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জালালুর রহমান আকন, বিএনপি নেতা মো. কবির হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন নিজাম মীরবহরসহ ০৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৫০/৬০ জনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত শনিবার (০২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনকে সফল করার লক্ষ্যে কাঠালিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক খান মাসুদের নের্তৃত্বে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা উপজেলা পরিষদ মোড় থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে একটি আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিলটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পুরাতন সিনেমা হলের সামনা থেকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ফেরার পথে পিছন থেকে ১৫-২০ জনে ওই মিছিলকে লক্ষ্য করে ৭/৮ টি ককটেল নিক্ষেপ করে। মিছিলটি অতর্কিত ককটেল বিষ্ফোরণের শব্দে ও ধাওয়ায় ছত্রভঙ্গ হয়ে বাসষ্ট্যান্ডের দিকে আসলে উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় দুই দিক থেকে পথ রোধ করে আক্রমন চালায় এবং এলোপাতাড়ি পিটায় বিএনপি-জামাত জোট ও বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এতে মামলার বাদী কাঠালিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নাজমুর হাসান (সুজন)সহ ০৬ নেতা-কর্মী আহত হয়। ঘটনার পর কাঠালিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্ফোরিত অংশ ও আসামীদের লাঠিসোটা উদ্ধার করে। এ ঘটনায় কাঠালিয়া থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জালালুর রহমান আকন বলেন, ঘটনার সময় আমি কৈখালী একটি সালিশ বৈঠকে ছিলাম। তখন ফোনের মাধ্যমে শুনেছি ছাত্রলীগের মিছিলে নাকী বোমা হামলা হয়েছে। তারা এভাবে নিজেরা মিথ্যা ঘটনা ও নাটক সাজিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মামলা করে হয়রানী করার চেষ্টা করছে।
কাঠালিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুরাদ আলী জানান, ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের উপর ককটেল হামলার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।